লিবিয়ার রাজধানীতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে দেশটিতে একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
শুক্রবার রাতে ত্রিপোলির বেশ কয়েকটি জেলাজুড়ে ব্যাপক গুলিবিনিময় এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এএফপির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, বেসামরিক নাগরিকরা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
খবর আরব নিউজের খবর বলা হয়েছে, রাতের সংঘর্ষে পশ্চিম লিবিয়ার দুই প্রভাবশালী মিলিশিয়া গ্রুপ জড়িত ছিল। সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা কিংবা কী উদ্দেশ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট নয়। তবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার লড়াইয়ের এটি সর্বশেষ সহিংসতা।
২০১১ সালের বিদ্রোহে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর ক্ষমতার শূন্যতা পূরণে তেল সমৃদ্ধ লিবিয়া রাজনৈতিক অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত। গত মাসে রাজনীতিবিদ ফাতি বাশাগা জোর করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন। তাকে সমর্থনকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ দিবেইবাহকে সমর্থনকারী দলের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল দিবেইবাহর। কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করেছেন তিনি। এরপর লিবিয়ার সংসদ ফাতি বাশাগাকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। কিন্তু দিবেইবাহ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
সূত্র: আরব নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
এমজেএফ