রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এমনটি বলেন।
জেলেনস্কির মতে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে সেখান থেকে খাদ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধের কারণে শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অশান্তি সৃষ্টির জন্য রাশিয়া দায়ী।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণে রাশিয়া যে প্রধান কৌশলগুলো ব্যবহার করেছে তার মধ্যে একটি হলো দেশটিতে ‘অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি করা। তার অভিযোগ, সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাতের কারণে বেশ কয়েকটি দেশ খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে। এতে করে রাশিয়ার অ্যাজেন্ডাই উপকৃত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে বিশ্বের ৯৪টি দেশের আনুমানিক ১৬০ কোটি মানুষ অর্থ, খাদ্য, বা জ্বালানি সংকটের মতো অন্তত একটি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। আর সরাসারি প্রভাব পড়েছে এমন দেশগুলোর প্রায় ১২০ কোটি মানুষ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় গোটা দেশ। ভোগ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ওষুধের তীব্র সংকট এসবের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে দায়ী করে আসছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এমনকি রাজাপাক্ষের পরিবারের অন্য সদস্যরাও সরকার থেকে সরে এসেছিলেন। বুধবার (১৩ জুলাই) গোতাবায়ার পদত্যাগের কথা থাকলেও দিনের আলো ফোটার আগেই সামরিক বিমানে করে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পাড়ি জমান তিনি। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময় : ১২২০ ঘণ্টা, ১৪ জুলাই, ২০২২
ইআর