সম্প্রচারকালে হঠাৎই কিছুক্ষণের জন্য হ্যাক হয় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। শনিবার (৮ অক্টোবর) সংবাদ বুলেটিন চলার সময় হ্যাকাররা টিভির পর্দায় সরকারবিরোধী ছবি ও ক্যাপশন প্রকাশ করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে টিভিতে সংবাদ বুলেটিন চলার সময় হঠাৎ পর্দায় কিছু ছবি ভেসে ওঠে। পর্দায় প্রথমে একটি মুখোশ দেখা যায়। এর পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির একটি ছবি ভেসে ওঠে। ওই ছবিতে দেখা যায়, খামেনির চারপাশে আগুন জ্বলছে।
হ্যাকাররা তাদেরকে ‘আদালত আলি’ বা ‘আলির বিচার’ বলে পরিচয় দিয়েছে।
হ্যাকের পর একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মাথাকে নিশানা করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি পুলিশি হেফাজতে নিহত তরুণী মাসা আমিনি এবং তার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় নিহত আরও তিন নারীর ছবিও দেখা গেছে।
একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘আমাদের সঙ্গে যুক্ত হোন এবং জেগে উঠুন’। আরেকটিতে লেখা হয়, ‘আপনাদের থাবায় আমাদের মতো তরুণদের রক্ত ঝরছে। ’
এদিকে শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তেহরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে সেখানকার নারী শিক্ষার্থীরা ‘বেরিয়ে যান’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
ইরানে নৈতিকতাবিষয়ক পুলিশ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলমান বিক্ষোভে ইরানে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। তবে ইরান সরকার বলছে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ৯ অক্টোবর, ২০২২
ইআর