ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কনস্যুলেটে কেউ ছিল না

দ্রুতই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনে পৌঁছাবে: জার্মানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
দ্রুতই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনে পৌঁছাবে: জার্মানি জার্মানির তৈরি আইআরআইএস-টি এসএলএম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

রুশ হামলা থেকে রক্ষায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করবে জার্মানি। সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ব্যাপক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমনটাই জানিয়েছে জার্মানি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ক্রিস্টিন লামব্রেখট বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জার্মানি চারটি আইআরআইএস-টি এসএলএম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে প্রথমটি ইউক্রেনে সরবরাহ করবে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‌কিয়েভ এবং অন্যান্য অনেক শহরে নতুন করে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় ইউক্রেনকে দ্রুত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ই্উক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল এবং ড্রোন হামলা, বিশেষ করে বেসামরিক জনগণকে আতঙ্কিত করছে। এ কারণেই আমরা এখন সহায়তা দিচ্ছি। বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র দিয়ে।

এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সোমবার বলেছেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাকে দ্রুত শক্তিশালী করতে জার্মানি যা করা সম্ভব তার সবকিছুই করবে।

টুইটারে তিনি লিখেছেন, ইউক্রেনের বড় বড় শহর এবং বেসামরিক স্থাপনায় পুতিনের পক্ষে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও বোমাবর্ষণ ঘৃণ্য এবং অযৌক্তিক।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলার সময় রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র জার্মান কনস্যুলেটের একটি ভবনে আঘাত হেনেছে। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি খালি থাকায় হামলার সময় কনস্যুলেটে কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, গত কয়েক মাস ধরে ভবনটিতে কোনো কাজ হয়নি। জার্মান ভবনটিতে সরকার রুশ হামলায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে কিয়েভের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

এর আগে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির কয়েকটি শহরে বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে ‌‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে। সোমবার এক বিবৃতিতে ইইউ ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকের ‘জঘন্য, কাপুরুষোচিতভাবে মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বেসামরিক অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পরিপন্থী’ এবং ‘বেসামরিক মানুষকে নির্বিচারে টার্গেট করা যুদ্ধাপরাধের সমান। ’

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপের একবিংশ শতাব্দীতে কোনো স্থান নেই। ইইউয়ের প্রতিশ্রুত আরও সামরিক সহায়তা ইউক্রেনের পথে রয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা ডয়েচে ভেলে

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।