ঢাকা: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের দশম বার্ষিকীতে আমরা বিশ্বজুড়ে সব কন্যার জীবন ও অর্জনকে উদযাপন করছি। মেয়েরা যখন নিজেদের মানবাধিকার অনুধাবন করতে সহায়তা পায়, তখন তারা নিজেদের সম্ভাবনাগুলোতে পৌঁছাতে পারে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পেলে স্বাস্থ্যকর, উৎপাদনশীল ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনে তাদের সুযোগ আরও বেড়ে যায়। মেয়েরা সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পেলে, তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এবং নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে বেড়ে ওঠে।
সহিংসতার হুমকি ছাড়া বাঁচার অধিকারসহ মেয়েরা যখন তাদের অধিকার সম্পর্কে বোঝে, তারা আরও বেশি নিরাপদ থাকে এবং নিপীড়নের শিকার হলে তাদের অভিযোগ জানানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেক মেয়ে আজ বিপুল পরিমাণ চ্যালেঞ্জের মুখে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে হয়তো তাদের পড়ালেখার ইতি ঘটেছে। সংঘাতের কারণে হয়তো তারা বাস্তুচ্যূত হয়েছে। তারা হয়তো তাদের শারীরবৃত্তীয় ও প্রজনন অধিকার ভোগের সুযোগ পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, আমি আফগানিস্তানে অব্যাহতভাবে মেয়েদের বিদ্যালয় থেকে ঝরেপড়া নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এটা মেয়েদের যেমন ক্ষতি করছে, একইভাবে মেয়েদের শক্তি ও অবদান প্রবলভাবে প্রয়োজন এমন একটি দেশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি আবারও মেয়েদের পড়ার সুযোগ দিতে তালিবানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বার্তায় তিনি বলেন, যে কোনো সময়ের তুলনায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে। যাতে মেয়েরা নিজেদের অধিকার অনুশীলন ও ভোগ করতে পারে। নিজ সম্প্রদায় ও সমাজে সমানভাবে ও নিজের জায়গা থেকে তারা যেন শতভাগ ভূমিকা রাখতে পারে। মেয়েদের জন্য বিনিয়োগের অর্থ আমাদের সবার ভবিষ্যতের পেছনে বিনিয়োগ।
তিনি বলেন, মেয়েরা যেন সবজায়গায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারে, পড়ালেখার সুযোগ পায় ও নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে আসুন আমরা আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ জোরদার করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
টিআর/এমএমজেড