উত্তর-মধ্য আফ্রিকার দেশ শাদের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সালেহ কেবজাবোর দলীয় সদরদপ্তর পুড়িয়ে দিয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ভবনটিতে তারা ভাঙচুর ও লুটপাটও চালায়।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এ হামলা চালানো হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দ্রুত উত্তরণের আহ্বান দাবি করে বিক্ষোভকারীরা এ কর্মকাণ্ড ঘটান। পরে শাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, শাদে বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেটি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানী এনজামেনার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড রিনিউয়ালের (ইউএনডিআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলেস্টিন টোপোনা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিক্ষোভকারীরা সকালে তাদের সদরদপ্তরে ভাংচুর করে। পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা ১০০ জন বিক্ষোভকারীর প্রতিবাদ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করেন। এ সময় পুলিশ বল প্রয়োগ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে কয়েকজন আহত হন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের দিকে গুলি ছুঁড়েছে। এ ঘটনায় এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এ দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এসব ঘটনায় কোনো মন্তব্য জানায়নি শাদ সরকার।
২০২১ সালের এপ্রিলে শাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবির আকস্মিক মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই মধ্য-আফ্রিকার সেনাশাসিত দেশটিতে বিশৃঙ্খলা চলছে।
ইদ্রিস দেবির মৃত্যু হয় ‘যুদ্ধের ময়দানে’। তিনি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা সৈন্যদের দেখতে বেরিয়েছিলেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে দেবি শাদ শাসন করেছিলেন শক্ত হাতে।
দেবির মৃত্যুর পর সামরিক পরিষদ গঠন করা হয় শাদে। পরিষদের প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশে সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার। কিন্তু সামরিক পরিষদ নির্বাচন পিছিয়ে দেয়। এরপর থেকেই শাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
পূর্বসূরি আলবার্ট পাহিমি প্যাদাক পদত্যাগ করার পর গত সপ্তাহে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন ইউএনডিআর পার্টির সভাপতি কেবজাবো।
ইদ্রিস দেবির দীর্ঘ শাসনের পর দেশটির দ্রুত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন ও সরকার পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সমালোচকরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এমজে