ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

বদলি হজ আসলে কী?

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৫
বদলি হজ আসলে কী?

আল্লাহতায়ালার কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম। এ ধর্মের বিধি-বিধানগুলো পালনের জন্য অনেক বিকল্প রাস্তা বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দেখিয়ে গেছেন।

যেমন কোনো সামর্থ্যবান ব্যক্তির হজ করার মতো অবস্থা হয়েছে, হজ তার ওপর ফরজ। এ অবস্থায় হজ না করেই মারা গেলেন বা শারীরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেললেন, তার জন্য কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে করিয়ে নেয়া যাবে। একেই ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় ‘বদলি হজ’ বলা হয়।

একদিন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) খেদমতে হাজির হয়ে একজন মহিলা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার আম্মা মারা গেছেন। আমি তার পক্ষ থেকে একটি দাসি আজাদ করে দিয়েছি। উত্তরে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এর উত্তম প্রতিদান তিনি অবশ্যই পাবেন। অতঃপর ওই মহিলা আবার রাসূলকে (সা.) বললেন, তিনি হজ করেননি। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারব। উত্তরে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, হ্যাঁ, করতে পারবে। -মুসলিম শরিফ

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, হজের বদলের বিনিময়ে তিন ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে- ১. যার পক্ষ থেকে হজে বদল করা হয় তিনি, ২. যিনি হজে বদল করেন তিনি এবং ৩. যিনি হজে বদল করান তিনি।

উল্লিখিত হাদিসগুলোর আলোকে আমাদের সামনে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো। ইসলামি শরিয়তে হজে বদলের অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং এর বিধানও রয়েছে। তাই সৌভাগ্যবান কোনো সন্তান যদি তার মাতা-পিতার পক্ষ থেকে কাউকে দিয়ে হজে বদল করায় অথবা সে নিজেই তাদের পক্ষ থেকে হজে বদল করে তাহলে সে সন্তান অনেক সওয়াবের অধিকারী হবে। পিতা-মাতা কোনো একজনের ওপর হজ ফরজ ছিল কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি হজ করে যেতে পারেননি বা কাউকে দিয়ে হজ করানোর অসিয়তও করেনি। এ অবস্থায় তার সন্তানের ওপর তার পক্ষ থেকে হজে বদলের ব্যবস্থা করা মোস্তাহাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘন্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।