ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

হজে ‘তালবিয়া’ পাঠের নিয়ম ও প্রাসঙ্গিক মাসআলা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
হজে ‘তালবিয়া’ পাঠের নিয়ম ও প্রাসঙ্গিক মাসআলা পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফের মোহনীয় দৃশ্য।

আল্লাহপ্রেমে সাড়া দিয়ে হজব্রত ও ওমরাহ পালনার্থীরা পবিত্র নগরীতে উপস্থিত হন। হজ-ওমরাহর মৌলিক আমল হিসেবে শ্বেত-শুভ্র জোড়া কাপড় পড়েন। মূলত হজ ও ওমরাহ পালনার্থীরা ইহরাম গ্রহণের পর থেকেই তালবিয়া পাঠ করেন। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...’ ধ্বনিতে প্রভুর দরবারে হাজির হওয়ার বিনীত ঘোষণা দেন।

বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য হজে ‘তালবিয়া’ পাঠের নিয়ম ও প্রাসঙ্গিক মাসআলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা —

♦ পুরুষ উচ্চ স্বরে তালবিয়া পাঠ করবেন এবং নারীরা পড়বেন নিম্নস্বরে। (মানাসিক, পৃষ্ঠা: ১০০, গুনইয়াতুন নাসিক পৃষ্ঠা: ৭৪, আদ্দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা: ৪৮৪)

সাইব ইবনে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, আমার নিকটে জিবরাইল (আ.) এলেন এবং বললেন, আমি যেন আমার সাহাবীদেরকে উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠের নির্দেশ দেই।

(তিরমিজি, হাদিস: ১/১৭১)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নারীরা উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করবেন না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৪৮৮২)

♦ তালবিয়া পুরোটা পাঠ করতে হবে। কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়াও মাকরূহ। (মানাসিক, পৃষ্ঠা: ১০২, আদ্দুররুল মুখতার, খণ্ড: ০২, পৃষ্ঠা: ৪৮৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া, খণ্ড: ০১, পৃষ্ঠা: ১২৩)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, তালবিয়া শেষ পর্যন্ত পাঠ করো। কেননা এটি রাসুল (সা.)-এর তালবিয়া। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৩৬৩৮) 

♦ তালবিয়ার দোয়ার স্থানে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, কালিমা তাইয়্যিবা বা কোনো জিকির পাঠ করলেও ইহরাম সম্পন্ন হবে। কিন্তু তালবিয়া ছাড়া অন্য কিছু পাঠ করা মাকরূহ। তাই তালবিয়া পাঠ একান্ত অসম্ভব হলে আল্লাহ তাআলার কোনো জিকিরের মাধ্যমে ইহরাম গ্রহণ করবে। (মানাসিক: ১০২, গুনয়াতুন নাসিক: ৭৬, আদ্দুররুল মুখতার, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ৪৮৩)

বিখ্যাত তাবেয়ি তাউস (রহ.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, এক ব্যক্তি তালবিয়ার জায়গায় ‘আল্লাহু আকবার’ বলেছে। তিনি বললেন, তার ইহরাম সম্পন্ন হয়েছে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং: ১৪৯৩৫)

♦ নারীরা বিশেষ অবস্থায় অর্থাৎ মাসিক ঋতুস্রাব, সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব ইত্যাদি থাকলেও তালবিয়া পাঠ ও ইহরাম গ্রহণ করতে পারবেন। হজের অন্যান্য কাজও করা যাবে। তবে এ অবস্থায় তাওয়াফ করা ও নামাজ পড়া জায়েজ নয়।  

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নারীরা ঋতুস্রাব বা নেফাস অবস্থায় মিকাতে এলে গোসল করবেন এবং ইহরাম গ্রহণ করবেন। অতঃপর হজের আমল সম্পন্ন করবেন, তবে তওয়াফ ব্যতীত। (আবু দাউদ: ১/২৪৩)

তালবিয়ার উচ্চারণ
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর তালবিয়া হলো-লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক। (মুসলিম, হাদিস নং ১/১৭৫)

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০, জুলাই ২৮, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।