ঢাকা, রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০১ জুন ২০২৫, ০৪ জিলহজ ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

চাকা যেভাবে আবিষ্কার হয়

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১৩, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
চাকা যেভাবে আবিষ্কার হয় চাকার বিবর্তন/ছবি: সংগৃহীত

চাকাকে বলা যায় সভ্যতার গতি। মানুষের ধীরগতির জীবনে গতি আনে চাকা। চাকা আবিষ্কার হওয়ার আগে মানুষ নিজেই বইতো তার যাবতীয় ভারের বোঝা।

একসময় বনের পশুকে পোষ মানাতে শেখে আদিম মানুষ। গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত হয় গরু, গাধা, ঘোড়া, উট প্রভৃতি প্রাণী।

এবার এসব প্রাণীর পিঠে বোঝা চাপিয়ে পণ্য বহন শুরু হয়।

সভ্যতার ক্রমবিকাশ হতে থাকে এভাবে। মানুষ যে সবসময়ই গতি পছন্দ করতো, করে তা প্রকাশ পেতে থাকে ধীরে ধীরে। একপর্যায়ে গাছের গুঁড়ির চাকতি কেটে তার মাঝ বরাবর ছিদ্র কর‍া হয়। এটাই ছিলো সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম চাকা।

প্রাচীন কালের চাকা/ছবি: সংগৃহীতএই চাকা আবিষ্কারের পর এখানেই থেমে থাকলো না। এবার এতে যুক্ত হলো একটি দণ্ড। দুই চাকাকে জুড়ে দিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হলো কাঠের পাটাতন। তৈরি হয়ে গেলো পৃথিবীর প্রথম অপরিণত গাড়ি।

ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব সাড়ে তিন থেকে তিন হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়ায় (বর্তমানে ইরান) আবিষ্কার হয় এ চাকা। তারপর কালের বিবর্তনে রূপ পেয়েছে হালের মেটালের চাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।