ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিদ্দিকবাজারে বিষ্ফোরণ: গ্রেফতার দেখানো হলো ভবন মালিকসহ তিনজনকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
সিদ্দিকবাজারে বিষ্ফোরণ: গ্রেফতার দেখানো হলো ভবন মালিকসহ তিনজনকে ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট)  হয়েছে ভবন মালিকসহ তিনজনকে। তারা হলেন- ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং বেসমেন্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মোতালেব মিন্টু।

এর মধ্যে ওয়াহিদ ও মতিউর আপন দুই ভাই।

কারাগারে থাকা তিনজনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)। সেই আবেদনের শুনানির জন্য এই তিনজনকে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা তাদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

ভবন মালিক ওয়াহিদুর রহমান এবং তার ভাই মতিউর রহমানকে ৭ মার্চ রাজধানীর ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। একই দিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এলাকা থেকে মোতালেব মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।

গত ৯ মার্চ এই তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেই রিমান্ড শেষে গত ১২ মার্চ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত ৮ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করে৷ মামলায় অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। গত ১১ মার্চ এই মামলার এজাহার আদালতে আসে। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম সেই এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

এছাড়া গত ৮ মার্চ এ ঘটনায় পুলিশ অপমৃত্যুর একটি মামলা করেছিল। তবে বংশাল থানা সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের গ্যাস সংযোগ, নকশাসহ কী কী গাফেলতি রয়েছে, এ বিস্ফোরণে ভবন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের কোনো দায় আছে কিনা- মূলত এসব অবহেলাজনিত বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

গত ৭ মার্চ সিদ্দিকবাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৪ জন মারা গেছেন। এছাড়া ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এক যুবকের মরদেহ তার বন্ধুরা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। ফলে তার মৃত্যুর কোনো রেকর্ড হাসপাতাল কর্তৃপেক্ষর কাছে নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
কেআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।