ঢাকা: জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সালাউদ্দিন জাবেদকে মারধরসহ হুমকির মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ দুজন হলেন- কলাবাগান থানার সাবেক সহ-সভাপতি সাদাফ আহমেদ অনিক এবং শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল।
এর মধ্যে কলাবাগান থানার সাবেক সহ-সভাপতি সাদাফ আহমেদ অনিককে গ্রেপ্তার দেখানোর বিরোধিতা করে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল'ইয়ার্স কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুক রাজ্জাক।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামছুল হক সুমন তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
সে অনুযায়ী বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শুনানিকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি করেন।
আসামি সাদাফ আহমেদ অনিককে গ্রেপ্তার না দেখাতে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুক রাজ্জাক। তিনি দাবি করেন, এ আসামির দলীয় কোনো পদপদবী নেই।
শুনানি শেষে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামছুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে সালাউদ্দিন জাবেদ পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য রাসেল স্কয়ার থেকে সাইন্স ল্যাবের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কলাবাগান ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে সামনে যুবলীগ/ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার মোবাইল চেক করেন। ছবি/ভিডিও পাওয়ায় তাকে মারধর করে, হুমকি-ধামকি দেয়। তার মানিব্যাগে থাকা চার হাজার টাকাও নিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় সালাউদ্দিন জাবেদ গত বছরের ২৭ আগস্ট কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ২৭ মে অনিককে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি মোস্তফা কামালকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কেআই/আরআইএস