ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৫ জুন রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২১ জুন) চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। আসামিরা হলেন, মো.আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো.ওহাব মোল্লা, মো.মাহতাব বিশ্বাস, মো.ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো.নওশের বিশ্বাস। এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
আর বাকি চারজন ছিলেন পলাতক। এর মধ্যে আবার নওশের বিশ্বাস মারা যান। ফলে এখন আসামি চার জন।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা যশোর বাঘারপাড়া থানার থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন আমজাদ।
২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।
যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
ইএস/এসআইএস