ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘এমরান বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য নয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
‘এমরান বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য নয়’

ঢাকা: অব্যাহতি পাওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূইঁয়া  সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী পরিষদের সদস্য নয় বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাঠানো খোলা চিঠির প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের ৫১০ জন আইনজীবী বিবৃতি দেন। ৫১০ আইনজীবীর এই বিবৃতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের পক্ষে সোমবার গণমাধ্যমের কাছে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল।

এ সময় সাংবাদিকরা সুপিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কাছে অব্যাহতি পাওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূইঁয়ার বিষয়ে জানতে চান।

জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, তিনি (এমরান) যে বিবৃতি দিয়েছেন, এটা পুরোপুরি আইনের লঙ্ঘন। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে থেকে এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন না। ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিক ডেকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য এটা করেছেন। ওনার বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যই না। এই বিবৃতি দিয়েছে সাধারণ আইনজীবীরা। এটা চলমান প্রক্রিয়া।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, এমরান আহম্মদ ভূইঁয়া আমেরিকান দূতাবাসে স্ব উদ্যোগে গিয়েছেন। তার ইনটেনশনটা পূরণের জন্য গেছে। কারো প্রেসারে বা কারো কারণে যায়নি। এ দেশের নাগরিক যেতে পারে অ্যাপয়নমেন্ট ছাড়া? এটা যে প্রিপ্ল্যান তা সেখানে প্রমাণ হয়েছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন যে—ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে আমি স্বাক্ষর করব না।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল দেশটির যে আইন সংস্কার হচ্ছে; বিচার সম্পর্কিত, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর না চিন্তাটাও সে রকমই।

এমরান আহম্মদ ভূইঁয়া আরও বলেন, যে বিবৃতি দিয়েছেন ১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত। আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি।

পরে ৭ সেপ্টেম্বর এমরান আহম্মদ ভূইঁয়াকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে নিরাপত্তার অভাববোধ তুলে ধরে সপরিবারে মার্কিন দূতাবাসে যান তিনি। তবে কয়েক ঘণ্টা পর আবার বাসায় ফেরত যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।