ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শরীয়তপুরে লিটন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৩৯, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
শরীয়তপুরে লিটন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরার চাঞ্চল্যকর লিটন বেপারী হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই আসামিকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ তারিক এজাজ এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাতজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এসকেন্দার মোল্লা, মজিবর মাদবর, আওলাদ মাদবর, সুজন মাদবর, আল আমিন মাদবর, মকবুল মাদবর, মোকাদ্দেছ মোল্লা, জলিল খাঁ, কোব্বাস মাদবর, রবিউল্লাহ মাদবর ও চানমিয়া মাদবর।
 
এছাড়া নুরুল আমিন খাঁকে তিন বছর এবং মনির মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।  

এ ১৩ জনের মধ্যে এসকেন্দার মোল্লা, চানমিয়া মাদবর, মকবুল মাদবর, আল-আমিন মাদবর, জলিল খাঁ ও এক বছর সাজাপ্রাপ্ত মনির মোল্লা পলাতক।  

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১০ সালের ৯ মার্চ জাজিরা উপজেলার রাড়ীপাড়া এলাকার লিটনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনার তিনদিন পর লিটন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় লিটনের ভাই মতিউর রহমান জাজিরা থানায় ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আরও দুজনসহ মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ৩৫ জনের মধ্যে ১১ জনকে যাবজ্জীবন ও দুজনকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মির্জা হযরত আলী বলেন, এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছি। যদি আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যায়, তাহলে আমরা আদালতের মাধ্যমে তার জবাব দেব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।