ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

বরিশাল: ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এর রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাসেল হাওলাদার (৩০) বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সালাম হাওলাদারের ছেলে।

এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুল মজিদ বয়াতির ছেলে বেল্লাল হোসেন (৩৩), মৃত রুহুল আমিন বয়াতির ছেলে শাহিন মিয়া (৩২) ও সানু হাওলাদারের ছেলে ইদ্রিস হাওলাদার (৩০)।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল লতিফ মৃধার ছেলে সৈয়দ মৃধা (৩০) কে খালাস দেওয়া হয়েছে।  

অপরদিকে, নিহত ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।

পিপি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু জানান, দণ্ডিতরা ২০১৯ সালের ৪ মার্চ উপজেলার বালিগ্রামে মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে আসে। পরদিন ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বালিগ্রামের সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ফয়সালকে একা পায় তারা। পরে তার পথরোধ করে নলকূপ স্থাপনের পাইপ বসানোর লোহার হ্যান্ডেল ও রড দিয়ে মাথায়-মুখে আঘাত করে। এরপর গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে ফয়সালকে হত্যা করে পাশের ইউসুফ হাওলাদারের দোকানের পেছনে মরদেহ লুকিয়ে রাখে। পরে ফয়সালের মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যান ঘাতকরা।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে লুট করা মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটরসাইকেলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়। শহিদুল নামে একজন এসে মারামারি থামানোর সময় মোবাইল ফোনে ফয়সালের ছবি দেখতে পায়। পরে শহিদুলের ঘরের পেছনে মোটরসাইকেল দেখতে পেয়ে ফয়সালের বাবা বাদী নুরুল ইসলামকে খবর দেয়। তিনি এসে মোটরসাইকেল শনাক্ত করেন।  

পরে তাদের চারজনকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হলে তারা ফয়সালকে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে ফেলার কথা স্বীকার করে।  

পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে ৬ মার্চ সকালে আসামিদের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নামধারী পাঁচ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করে।

বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক নকীব আকরাম হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয়। পরে বিচারক ২৮ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।