ঢাকা: হবিগঞ্জের মাধবপুরে ‘শিক্ষকের ছোড়া বেতের আঘাতে মেহেদি হাসান নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর এক চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার’ ঘটনায় তিন কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
শিশুটির বাবা মোতালেব এ রিট করেন।
রিট আবেদনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাধবপুরের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে ‘মাধবপুরে শিক্ষিকার আঘাতে আরেকটি চোখও নষ্টের পথে’ শীর্ষক গত ২৯ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিক্ষিকার ছোড়া বেতের আঘাতে শিক্ষার্থীর এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন অপর চোখটিও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ চোখটি নষ্ট হলে পৃথিবীর আলো দেখা শেষ হয়ে যেতে পারে মেহেদি হাসানের। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার নামে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে স্থায়ীভাবে বদলি করা হয়েছে।
শিশুটির এক স্বজন জানান, ডাক্তার বলেছেন, আঘাতপ্রাপ্ত চোখটি রক্ষা করা সম্ভব নয়। চোখগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি সংযুক্ত থাকে। তাই অপর চোখটি রক্ষা করতে হলে চিকিৎসায় অন্তত ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। এ টাকা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। সরকারি সহায়তা ছাড়া শিশুটির চোখ রক্ষা করা তার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।
শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলার বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোর্শেদা আক্তার প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসানের দিকে একটি বেত ছুড়ে মারেন। এতে তার ডান চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মেহেদিকে দ্রুত ঢাকার আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। গত ১৭ আগস্ট সেখানে তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। চোখটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন অপর চোখটিও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
ইএস/আরবি