ঢাকা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে ডান হাত মেশিনে ঢুকে যায় এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ঘটনায় শিশু নাইম হাসানকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক, মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া ও আইনজীবী তামজিদ হাসান। ওয়ার্কশপ মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বারেক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
২০২০ সালের ১ নভেম্বর ‘ভৈরবে শিশুশ্রমের করুণ পরিণতি’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে শিশুটিকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনা নিজ কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান করতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রুলের ওপর মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়।
২০২০ সালের ১ নভেম্বর সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, নাঈম হাসানের বয়স ১০ বছর। পড়ছে চতুর্থ শ্রেণিতে। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। তার বাবা আনোয়ার হোসেনের পেশা জুতা ব্যবসা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময়ে আনোয়ার হোসেন কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় সংসারের চাপ সামলাতে নাঈমকে তার মা–বাবা কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি ওয়ার্কশপে কাজে দেন। এই ওয়ার্কশপের কাজ করতে গিয়েই মাসখানেক আগে তার ডান হাতটি মেশিনে ঢুকে যায়। শেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় ডান হাতটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
ইএস/এএটি