টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৃদ্ধ মা, তার দুই ছেলে ও এক ছেলের স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে আদালতে মামলা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার আব্দুল জব্বার মিয়া (৩৪) বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর আমলি আদালতে ১৯ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেছেন।
জব্বার মিয়া জানান, ঘটনার পর পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে আদালতে এসে মামলা প্রস্তুতির সময় মধুপুর থানা থেকে ফোন করে মামলার জন্য যেতে বলে। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী একটি গ্রুপ মধ্যস্থতার নামে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছে বলেও জব্বার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিপদে ফেলে ওই জমিটি কম দামে কিনে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে তারা।
মামলা বাদী পক্ষের আইনজীবী কবীর হোসেন উজ্জ্বল জানান, দুই ভাই আলমগীর ও জব্বার মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী কালু মিয়া শেখ ও তার ভাই আজগর আলী, সামাদ মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল দীর্ঘদিনের। ২০০০ সালে দায়ের করা বাটোয়ারা মামলায় ২৩ বছর পর আলমগীর ও জব্বারদের পক্ষে রায় দেন আদালত। এরপর কালু মিয়া সেখ, তার ভাই আজগর আলী ও সামাদ মিয়া মালিকানা দাবি করে ১৪৪ ধারা চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন ওই জমির ওপর। পরবর্তীতে আলমগীর ও জব্বার মিয়া আদালতে আপিল করেন।
তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক বাদল চন্দ্র দাস মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি উত্তর) তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কালু মিয়া শেখ ও তার ভাই আজগর আলী ঘর তুলতে গেলে আলমগীর বাঁধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষরা তাকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে আহত করেন। এতে বাধা দিলে তার ভাই জব্বার মিয়া, মা শাফিয়া বেগম ও তার পুত্রবধূ জোৎস্না বেগমকেও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনায় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফেন করার পর পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহত আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মা ও পুত্রবধূকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মধুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: মা-ছেলেসহ ৪ জনকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
এসএম