কক্সবাজার: মিয়ানমার থেকে অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশকারী সেই ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রথম দফায় ১১ জনের ৩ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অপর ১১ জনকে ৩ দিনের রিমান্ডের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৩ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়া ১১ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে উপস্থাপন করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার।
তিনি বলেছেন, প্রথম দফায় নিয়ে যাওয়া ১১ রোহিঙ্গা ৩ দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অপর ১১ রোহিঙ্গাকে সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। একইসঙ্গে প্রথম দফায় ১১ জনের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মূলত মিয়ানমার থেকে তারা কেন এসেছেন, অস্ত্রগুলোর উৎস কোথায়, কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, সীমান্ত সমস্যার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এসব বিষয়গুলো বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রথম দফায় ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে এই ১১ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আদালত ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে অসুস্থ একজন ছাড়া অপর ২২ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের পাশাপাশি অস্ত্রধারী ২৩ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে ৯ ফেব্রুয়ারি বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করে উখিয়া থানায় পাঠানো হয়। পরে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা শুনানি শেষে ২২ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে থাকা মো. সাদেক নামে এক রোহিঙ্গা অসুস্থ হওয়ায় তার রিমান্ডের অনুমতি দেননি বিচারক।
আরও পড়ুন>> অস্ত্রসহ আটক ২২ রোহিঙ্গা ৩ দিনের রিমান্ডে
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
এসবি/এফআর