ঢাকা: সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলায় দুই পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে গোঁজামিলের রায় দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই মামলায় চারজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সেখানে দুজনের জবান গ্রহণ করে সাজা দিয়েছেন, আর দুজনের গ্রহণ না করে খালাস দিয়েছেন। আদালতকে হয় পুরো বিষয়টা গ্রহণ বা বর্জন করতে হবে৷ কিন্তু এখানে আংশিক গ্রহণ করে রায় দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় দুপক্ষকে সন্তুষ্ট করতে এই গোঁজামিলের রায় দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আলী হোসেন সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- নিহতের ভাসুরের শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান ও শ্যুটার মারুফ রেজা। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
আর খালাস পেয়েছেন সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন ও মন্টু মন্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মন্ডল। এই তিনজন জামিনে ছিলেন।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। সেদিন রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়। এরপর রায় ঘোষণার তারিখ দুই দফায় পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
কেআই/এমজে