ঢাকা, সোমবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রতারণার মামলা থেকে অনন্ত জলিলকে অব্যাহতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
প্রতারণার মামলা থেকে অনন্ত জলিলকে অব্যাহতি

ঢাকা: গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে বিল পরিশোধ না করায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলা থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ৬ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন।  

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- তার মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির এমডি ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসেন, সাইকুল ইসলাম, মো. মিলন ও সাইদুল ইসলাম।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর অনন্ত জলিলসহ ৬ আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন একই আদালত। আজ আসামিরা আদালতে হাজির হননি। তবে আসামিদের সঙ্গে আপস-মীমাংসা হয়েছে জানিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদী শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অনন্ত জলিলসহ ৬ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার মূল্যের বিল পরিশোধ না করে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওইদিন আদালত মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। ওই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন।

এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।

আরজিতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি, যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার।

সম্প্রতি এ মামলায় অনন্তসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডি। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।