ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চমেক শিক্ষার্থী আবিদ খুনের ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৯, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
চমেক শিক্ষার্থী আবিদ খুনের ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ আবিদুর রহমান আবিদ।

ঢাকা: ২০১১ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রদলকর্মী সন্দেহে ৫১তম ব্যাচের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদ হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আসামিরা ছাত্রলীগের তৎকালীন চমেক শাখার নেতাকর্মী।

ওই মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অজি উল্লাহ ও আইনজীবী আজিমুদ্দিন পাটোয়ারি।   

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আসামিরা হলেন- তৎকালীন ছাত্রসংসদের ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মা, চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল পারভেজ সুমন, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, ফেরদৌস রাসেল, শান্ত দেবনাথ, মাহাফুজুর রহমান ধীমান, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোস্তফা কামাল, রাশেদুর রেজা সানি ও সালমান মাহমুদ রাফসান।

ছাত্রদল চমেক শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ দাবি করেছিলেন, আবিদ তাদের সক্রিয় কর্মী ছিল। আবিদসহ ছাত্রদল কর্মী ফয়সাল, নাজিম ও মাসুমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগ। পরে আবিদ মারা যায়।

এ ঘটনায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিকেল কলেজ প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ এবং ছাত্রসংসদ কার্যক্রম স্থগিত ও কলেজ ক্যাম্পাসে সব প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।

স্বজনদের অভিযোগ, ছাত্রদলের কমিটি গঠনের চেষ্টা করায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা কয়েক দফা পিটিয়েছিলেন আবিদকে। এরপর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বোনের বাসায়।

দুদিন পর ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবিদ।

তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মধ্যম বড়ইতলী গ্রামের মৃত নুরুল কবির চৌধুরীর ছেলে।

এ ঘটনায় আবিদের মামা নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদের ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আবিদ হত্যা মামলার রায়ে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী সব আসামিকে খালাস দেন।

পরে বাদী নেয়ামত উল্লাহ হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আরও পড়ুন...
ফাহাদের মতো পরিণতি চমেক শিক্ষার্থী আবিদের

ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।