ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জলবায়ু সম্মেলন

লিমা থেকে প্যারিস

মানবাধিকার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪
লিমা থেকে প্যারিস

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার উপায় নির্ধারণের জন্য একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বিশ্ববাসী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে দেন-দরবার করেও তাপমাত্রা হ্রাসের ব্যাপারে একটি পূর্ণ আইনি কাঠামো তৈরি সম্ভব হয়নি।

তারপরও এরকম একটি প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হয় এবারের লিমা সম্মেলন।

দীর্ঘ আলোচনার পর আংশিক সমঝোতার মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হয় লিমা সম্মেলন বা এবারের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন-২০১৪। আগামী বছর একটি স্থায়ী চুক্তি সম্পাদনের জন্য সমঝোতাই ছিল এ সম্মেলনের মূল এজেন্ডা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো বা অংশগ্রহণকারী রাষ্টগুলো অবশেষে একটি সমঝোতায় আসতে পেরেছে বলেই মনে হয়।

বৈশ্বিক জলাবায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস করাই আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের উদ্দেশ্য। প্যারিস সম্মেলনে এলক্ষ্যে একটি আইনি কাঠামো দাঁড় করাতে হবে।

তাপমাত্রা কমানেরা ব্যাপারে মূলত উন্নত ও উন্নয়শীল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একধরনের মতানৈক্য বিরাজ করছে। এতদিন এবিষয়ে কোনো পক্ষই নিজেদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে একমত হতে পারছিলনা। তবে, আশার কথা হচ্ছে, এবারের লিমা সম্মেলনে কার কি দায়-দায়িত্ব সে সম্পর্কিত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।

আগামী বছর জলবায়ু সম্মেলন হতে যাচ্ছে প্যারিসে। এর আগে এধরনের একটি সমঝোতা অত্যন্ত জরুরি ছিল। তাই এ খসড়া চুক্তি বা সমঝোতা প্যারিসের পথ প্রশস্ত করবে।

রাষ্ট্রগুলোকে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা কমানোর ব্যাপারে একমত হতে হবে। নিঃসন্দেহে এখানে উন্নত রাষ্ট্রগুলো দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ, উন্নত রাষ্ট্রগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দায়ী।

তাই উন্নত রাষ্ট্রগুলো লিমা সম্মেলনে একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে এসেছে। এ লক্ষ্যে তাদের পরিকল্পনা তারা পেশ করেছে। পাশাপাশি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোও এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ দীর্ঘ আলোচনা ও দেনদরবার হওয়ার পর এরকম একটি সমঝোতা আগামী সম্মেলনের সাফল্যের পথ প্রশস্ত করবে এমনটিই আশা করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু আগামি সম্মেলনে যদি তাপমাত্রা হ্রাসের হার নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো সমঝোতা না হয়, তবে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসবে। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য রাষ্ট্রগুলো যদি তাদের দায়-দায়িত্ব স্বীকার না করে তবে তা মানব সম্প্রদায়ের জন্য চরম জলবায়ু চ্যালেঞ্জ হিসেবেই আর্বিভূত হবে। তখন সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে।

আগের সম্মেলনগুলোতে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ি করা হয়েছিল কেবল উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে এবং সে অনুযায়ী দায়িত্বও দেয়া হয়েছিল উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে। এবারে তাদের করণীয় নির্ধারণে উভয় পক্ষই নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।