ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পোস্ট অফিস কর্মচারী হত্যা মামলায় ৫জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৭
পোস্ট অফিস কর্মচারী হত্যা মামলায় ৫জনের যাবজ্জীবন

বগুড়া: বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত সংঘর্ষে নিহত পোস্ট অফিসের কর্মচারী রবিউল ইসলাম মিঠু হত্যার ঘটনায় ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। 

এদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
  
রবিউল ইসলাম মিঠু গাবতলী উপজেলার তরফ সরতাজ গ্রামের আকিম উদ্দিনের ছেলে।

 

একই সংঘর্ষে গুরুতর আহত আকিমুদ্দিনের অপর দুই ছেলে রাজিব মাহমুদ মজনু ও আব্দুল মোমিনকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা প্রমাণিত আদালতের বিচারক দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চারজনকে ১০বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।  

সোমবার (০৬ মার্চ) বিকেলে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।  
 
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন -গাবতলী উপজেলার তরফ সরতাজ গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ, বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে মো. লিটন, খোরশেদ আলম ও মো. খোকন মিয়া। এদের মধ্যে খোকন মিয়া শুরু থেকেই পলাতক।  
 
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অতিরিক্ত প্রাবলিক প্রসিকিউটর  বিনয় কুমার ঘোষ রজত বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  
 
তিনি জানান, ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গাবতলী উপজেলার তরফসরতাজ গ্রামের এস এম আকিমুদ্দিনের ছেলে রাজিব মাহমুদ মজনু একটি বিবাদমান ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন। এসময় আসামিরা লোহার রড, ধারালো ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পানি দিতে নিষেধ করেন। নিষেধ না মানায় আসামিরা প্রথমে মজনুকে হত্যার উদ্দেশে মারপিট শুরু করেন।  
 
তার চিৎকারে ছোট ভাই পোস্ট অফিসের কর্মচারী রবিউল ইসলাম মিঠু ও আব্দুল মোমিন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা মিঠুকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন।  
 
পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  
 
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গাবতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  
 
তদন্ত শেষে প্রথমে গাবতলী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুম তালুকদার ও পরে গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন পরিদর্শক মিজানুর রহমান দু’দফা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  
 
দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সোমবার (০৬ মার্চ) বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৭
এমবিএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।