ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে ব্যাখ্যা দিলেন দুই বিচারক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
হাইকোর্টে ব্যাখ্যা দিলেন দুই বিচারক

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এক মামলায় দুই আদালতের জামিন শুনানি গ্রহণ করা ও না করা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুই বিচারক।  

দুই বিচারকের লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের পর বুধবার (২২ মার্চ) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসিরউল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ)।

মাগুরায় একটি মামলার শুনানি গ্রহণ না করা এবং সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলার শুনানি নেওয়ায় দুই বিচারকের কাছে গত ১৩ মার্চ ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট।

ফেসবুকে ‘বিতর্কিত’ পোস্ট দেওয়ায় গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানায় আহমেদ সবুজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হলে ১৭ নভেম্বর জজ আদালত তা শুনতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে সবুজের আইনজীবী তার পক্ষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন জানান। গত ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

খারিজাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন সবুজের আইনজীবী। হাইকোর্ট আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির। সবুজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল এহসান জুবায়ের।
ব্যাখ্যায় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেছেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৭১ ধারার বিধান মতে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন আবেদন শুনানি করার এখতিয়ার সম্পন্ন। কারণ, এর আগে পৃথক চারটি মামলার আসামিকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে জামিনের বিষয় নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আইনের বিধান মতে এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এরপরও জামিনের বিষয়টি শুনানির জন্য গ্রহণ করে অনিচ্ছাকৃত কোনো ত্রুটি করে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করা হলো’।

অন্যদিকে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ বলেছেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৭৪ ধারা অনুসারে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগে পর্যন্ত উল্লেখিত আইনের মামলাগুলো দায়রা আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর আইনের ৭১ ধারার বিধান মতে দায়রা আদালতের এ ধরনের মামলার জামিনের আবেদন শুনানির জন্য আর গ্রহণের সুযোগ নেই। এ কারণে জামিন আবেদনটি গ্রহন করা হয়নি শুনানির জন্য’।

আইনের ৭৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এতদুদ্দেশ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ দায়রা আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে’৷

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।