ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

১২৫টির মধ্যে ৩০টিতে পদক্ষেপ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৩ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৭
১২৫টির মধ্যে ৩০টিতে পদক্ষেপ

ঢাকা: গত তিন বছরে ১২৫টি রিপোর্ট, মতামত, সুপারিশ প্রশাসনিক বিভাগে পাঠিয়েছেন আইন কমিশন। এর মধ্যে ৩০টির বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসনিক বিভাগ। যদিও সমালোচনা রয়েছে, আইন কমিশনের রিপোর্টকে তেমন একটা আমলে নেয় না নির্বাহী বিভাগ।

২০১৭-১৮ ও ২০১৯-২০ এর মধ্য মেয়াদি বাজেট কাঠামোতে আইন কমিশনের বিষয়ে বলা হয়, ‘২০১৪-১৫ সালের ৭ম দ্বিবার্ষিক কর্মপরিকল্পনার আওতায় আইন কমিশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আইনগুলো প্রণয়ন/যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে’।
 
‘এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইনগুলো হলো- বৈষম্য বিলোপ আইন (প্রস্তাবিত), অর্থঋণ আদালত-২০০৩,  বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-১৯২৯, কোম্পানি আইন-১৯৯৪, নাগরিকত্ব আইন-২০০৪,  দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার মেরিটাইম অ্যাক্ট-১৯৭৪ (সংশোধনী), দ্য এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৯৭২, স্পেসিফিক রিলিফ অ্যাক্ট-১৮৭৭ এবং রাইট টু ফুড ইত্যাদি’।

 
 
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির প্রবর্তন ও বিভিন্ন আদালতে বহু সংখ্যক মামলা দীর্ঘদিন বিচারাধীন থাকার প্রেক্ষিতে এবং মৌলিক মানবাধিকার পরিস্থিতির আইনগত দিকগুলো পুনরীক্ষণ ও আইন শিক্ষার মানোন্নয়নসহ অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করার লক্ষ্যে অচল আইনগুলো বাতিল, প্রচলিত অন্যান্য আইনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যুগোপযোগী সংস্কার অথবা ক্ষেত্রমতো নতুন আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করতে আইন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ‘আইন কমিশন আইন-১৯৯৬’ করা হয়। ওই কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান হন সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলে কাদেরী মোহাম্মদ আবদুল মুনিম (এফকেএমএ মুনিম)।
 
কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ পদে রয়েছেন।
 
তার সময়ে উল্লেখযোগ্য মতামত ও সুপারিশগুলো হলো-দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার মেরিটাইম অ্যাক্ট-১৯৭৪ এর সংশোধনী, বৈষম্য বিলোপ আইন, মামলার জট দূরীকরণ, বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর সংশোধনী, আন্তর্জাতিক চুক্তি সংশোধন ও বাস্তবায়ন আইন, অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩ এর সংশোধনী, মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দায়বদ্ধতা, অসদাচরণ, অসামর্থের বিষয়ে তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে মতামত, প্রেস কাউন্সিল আইনের মতামত, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন এবং স্বাস্থ্যসেবা ও ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন।
 
আইন করার আগে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেনের সভাপতিত্বে আইন সংস্কার কমিশন গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে বিচারপতি আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে, ১৯৯০ সালে ব্যারিস্টার আসরারুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের ২৫ মে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নইমুদ্দিন আহমেদকে সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে আইন সংস্কার কমিশন গঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।