ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাবির বিশেষ সিনেট সভা নিয়ে হাইকোর্টে রায় মঙ্গলবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭
ঢাবির বিশেষ সিনেট সভা নিয়ে হাইকোর্টে রায় মঙ্গলবার হাইকোর্ট

ঢাকা: তিন সদস্যের ভিসি প্যানেল মনোনয়নের জন্য চলতি বছরের ২৯ জুলাই ডাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশেষ সিনেট সভার বৈধতার প্রশ্নে মঙ্গলবার (অক্টোবর ১০) রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণার জন্য রিট মামলাটি কার্যতালিকার ৫৮ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।  

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।

 আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

সিনেট সভা আহবানের বিষয়ে গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য, ২৯ জুলাই বিকেল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন।  বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলরের মাধ্যমে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে।  ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবের সময় তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করতে হবে।  সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়।

১৬ জুলাই তারিখে ঢাবি রেজিস্ট্রারের দেয়া এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৫ জন হাইকোর্টে রিট করেন। তারা রিটে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের অনেক প্রতিনিধির পদ খালি।  সিনেটের প্রতিনিধি হিসেবে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের পদ পূরণ না করে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য-প্যানেল মনোনয়ন করা ঠিক নয়।  

২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটসহ মোট ১৫ জনের করা ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন এবং সিনেট সভার ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালের ২০(১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভাটি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল করেন। এরপর ২৬ জুলাই হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ ৩০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।  ছাত্র-শিক্ষকদের আপত্তি ও অসন্তোষ সত্ত্বেও এ স্থগিতাদেশের সুবাদে কোনো প্রকার আইনি বাধা ছাড়াই ২৯ জুলাই সিনেটের বিশেষ  সভাটি যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিন সদস্যের ভিসি-প্যানেল মনোনীত করা হয়।

এই তিনজন সদস্য হলেন সদ্য-সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও নীল দলের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ।

৩০ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।  ওই দিন রিট আবেদনকারী পক্ষ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নেন।  সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আবেদনটি ফের শুনানিতে ওঠে।  ওইদিন আপিল বিভাগ তিন সদস্যের ভিসি-প্যানেলের পরবর্তী কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ২৯ জুলাইয়ের সিনেট বৈঠক নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।

সে মোতাবেক ২১ আগস্ট থেকে এ রুল শুনানি শুরু হয়।  গত রোববার রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবারকে রায়ের দিন ধার্য করেন।  

এদিকে উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ০৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর চাইলে তাকে(আখতারুজ্জামান) যেকোনো সময় দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
ইএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।