একইসঙ্গে তারা যেন বিদেশ যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের মামলার নথি পত্র হাইকোর্টে পাঠাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিচারিক আদালত এই দুই জনকে জামিন দিয়েছিলেন। ওই জামিন বাতিলে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। তারা যেন বিদেশ যেতে না পারেন, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে যে আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন, সে আদালতের মামলার নথিও তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।
গত ২৫ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান মতিঝিল থানায় আট জনকে আসামি করে মুদ্রা পাচার আইনের এ মামলা দায়ের করেন।
ওইদিন বিকেলে রমনার মৎস্যভবন এলাকা থেকে ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ওই দিনই দুইজনকে জামিন দিয়ে একজনকে রিমান্ডে পাঠান আদালত।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করেন এবং পরে তা আত্মসাৎ করেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
ইএস/এইচএ/