ওই সময় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাদী-বিবাদী পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে আসামি আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেল, জিয়াউল আলম মিস্টারসহ ২০ জনের জামিন বাতিল করে রায়ের জন্য ওই দিনটি ধার্য করেন ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক।
পরে জামিনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেল, জিয়াউল আলম মিস্টার, কমিশনার শিবলু, ফুলগাজী উপেজলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদসহ ১২ জনকে আবারো কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানা যায়, ইকরাম হত্যায় ফেনী কারাগারে রয়েছেন বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ ৩৫ জন। জামিনে বেরিয়ে পালাতক রয়েছেন পাঁচজন। আর সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামে এক আসামি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন।
সাধারণ মানুষ মনে করে একরাম হত্যাকাণ্ড ফেনীর ইতিহাসে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তারা আশা করছে নির্ধারিত তারিখে বিচারক সঠিক রায় প্রধান করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবেন।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় বিলাসী সিনেমা হলের সামনে একরামুল হক একরামকে প্রকাশ্যে গুলি করে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিনপর তার বড় ভাই রেজাউল হক জসিম ৫৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ফেনী জর্জ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ বলেন, এ মামলায় বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে ১৫ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এসএইচডি/ওএইচ/