বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আশরাফ আলীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোসলেহ উদ্দিন। রায় শুনে আদালতের কাঠগড়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আশরাফ আলী।
আশরাফ নালিতাবাড়ী উপজেলার মোয়াকুড়া গ্রামের কুব্বাদ আলীর ছেলে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠাণ্ডু জানান, ২০১১ সালের ৭ মে দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন গৃহবধূ হাজেরা খাতুন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে ওই রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত হাজেরাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন প্রতিবেশী আশরাফ। কিন্তু এসময় হাজেরা জেগে গিয়ে বাধা দিলে তিনি তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর আগে তিনি বলে যান যে আশরাফ তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন। রাতেই স্থানীয় লোকজন বাড়ির পাশে একটি ভটভটিতে আত্মগোপনে থাকা আশরাফকে আটক করে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কাশেম আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করলে মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে স্থানান্তর করা হয়। পরে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আশরাফ।
জেলা ডিবি পুলিশের সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দেন। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসআই