সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ কথা জানান।
আরও পড়ুন>>
** চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার ৭ বছর কারাদণ্ড
তিনি বলেন, আদালত এ মামলায় ১৫টি ফাইন্ডিংস দিয়েছেন।
‘যারা ক্ষমতায় ছিলেন বা যারা আছেন তাদের সবার জন্য আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ সর্বোচ্চ করে কেউ যেনো এসব না করে সেজন্য আইনের হুঁশিয়ারিও উল্লেখ করেছেন আদালত। ’
আইনজীবী কাজল বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষী ও প্রসিকিউশন পক্ষের দাখিলকৃত সাক্ষের আলোকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়। আর ১০৯ ধারা অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়।
‘খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই টাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে নিয়ে এসে তা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। শুধু তাই নয়, এই ট্রাস্টের নামে তার এক আত্মীয় বেয়াইন সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে তিনি কাকরাইলের ৪২ কাঠা সম্পত্তি খরিদ করেছিলেন। এতে তিনি ওই জমির দাম তো দিয়েইছিলেন এর চেয়েও বেশি এক কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা তিনি দেখিয়েছেন। এটাও ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে আমরা প্রসিকিউশন পক্ষ আদালতকে জানিয়েছি। ’
চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ মামলার অপর আসামি হারিচ চৌধুরী, জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এমএ