সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
‘আপিল বিভাগ তাদের সময় বর্ধিতকরণের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন এবং বলেছেন, আগামীকালের মধ্যে অতিরিক্ত সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য, আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এ আদেশ পেয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আদালতে ডাকলেন, কিন্তু উনারা (খালেদার আইনজীবীরা) কেউ এলেন না। আদালত তখন নথিভূক্ত আবেদনটি খারিজ করে দিলেন এবং আগামীকাল এ মামলার তিনটি আপিল এবং একটি রিভিশন আবেদনের রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন। ’
গত ৩০ জুলাই আপিল নিষ্পত্তিতে মেয়াদ ৩১ জুলাই থেকে বর্ধিত করে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করেছিলেন আপিল বিভাগ।
এই মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
গত ১২ জুলাই এ আপিল শুনানি শুরু হয়।
এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দু’জন হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন আদালত। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
ইএস/এইচএ/