ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘সাজা বাতিল না হলে নির্বাচন করতে পারবেন না খালেদা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
‘সাজা বাতিল না হলে নির্বাচন করতে পারবেন না খালেদা’ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: আপিল করে যদি সাজা বাতিল না হয়, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট বিভাগে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মত দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।  

মঙ্গলবারের (৩০ অক্টোবর) রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেছেন আদালত।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তিনটি আপিল খারিজ করেছেন আদালত। দুদকের সাজা বৃদ্ধির রিভিশনটি মঞ্জুর করেছেন। মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে ১০ বছরে বৃদ্ধি করেছেন। হাইকোর্টে এতদিন যে শুনানি চলছিলো এ রায়ের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটলো।  

সাজার পর খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত হলে নিশ্চয়ই পারবেন না। যে পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়। আপিল করে যদি সাজাটাকে বাতিল করা হয়। ’ 

তিনি বলেন, এখানে দুই রকম ব্যাখ্যা। এক. সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা। দুই. সাজা বাতিল করা। এক্ষেত্রে আমার অভিমত হলো কেউ যদি নির্বাচন করতে চান, সাজাটা আদালতের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে। সাময়িক স্থগিত থেকে নির্বাচন করা যাবে না বলে মনে করি।

যদি আপিল বিচারাধীন থাকে তাহলে কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল পেন্ডিং থাকলেও লাভ হবে না। স্থগিত হলে জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনে নয়।  

পলাতকদের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা পলাতক আছে তারা আপিল করেননি। তাদের সম্পর্কে হাইকোর্টের বলার অবকাশ নেই। যারা সামনে আছেন তাদের সম্পর্কে হাইকোর্ট বলতে পারবেন। পলাতকদের সাজা বহাল থাকবে নিশ্চয়ই, যে পর্যন্ত হাইকোর্ট থেকে বাতিল না হয়।  

খালেদার আইনজীবীদের উপস্থিত না থাকার বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, এটা তাদের ইচ্ছা। গত চার মাস সম্পূর্ণ রকমের সুযোগ দিয়েছিলেন আদালত। এরকম সুযোগ নজিরবিহীন। আজকেও আদালতে তাদের প্রতিনিধি ছিলো।  

রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২) ডি অনুসারে খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য আগেই হয়ে গেছেন। কাজেই এখন নতুন করে বলার কিছু নেই। আগেই ওনার পাঁচ বছর সাজা হয়েছে। চ্যারিটেবলে সাত বছর। আজকে ১০ বছর হলো। কাজেই ওনার পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ আর সম্ভব না। জামিনও অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে।  

খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, উনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। তাছাড়া সংবিধানে বলা আছে, ‘নৈতিক স্খলনের দায়ে কেউ যদি দু’বছর দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, তাহলে এই সাজা শেষ হওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ৬৬(২) ডি অনুসারে নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না’।  

আপিল করলে কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তখন দেখা যাবে। এটার জন্য রায়ের জাবেদা নকল পেতে হবে। আপিল করতে। সে সময় এখনো আসেনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮ 
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।