বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল আলম ঝিনুক এ রায় দেন। রমজান রাজবাড়ী সদর থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মো. আজিজ মোল্লার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের একটি খাবারের দোকান থেকে হোটেল ওয়েটার রমজানকে ডেকে নিয়ে যান পোশাক কারখানার নারী শ্রমিক মুক্তা। পরে বাট ভাউর এলাকায় নিয়ে মুক্তা রমজানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সেসময় প্রস্তাব অস্বীকার করে রমজান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রমজান ক্ষীপ্ত হয়ে মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের একটি তামাক ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
২২ জানুয়ারি তামাক ক্ষেত থেকে মুক্তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মুক্তা ও রমজান মানিকগঞ্জ সদর থানার বাট ভাউর গ্রামের আওলাদ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পুলিশ আওলাদকে আটক করলে মুক্তা ও রমজানের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানা যায়। পরে ২০১৪ সালের ৫ মার্চ অভিযান চালিয়ে রাজবাড়ী থেকে রমজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর রমজানকে আসামি করে একটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
আলাদত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার বিকেলে এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এসআরএস