বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এসময় মামলার অপর আট আসামিকে খালাস দেন তিনি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম জিলু মিয়া (৪০)। তিনি জেলার তাড়াইল উপজেলার ভেইয়ারকোনা (কাঠালিয়াকান্দা) গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-ভেইয়ারকোনা (কাঠালিয়াকান্দা) গ্রামের ইসহাক মিয়া (৬৫), একই এলাকার মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে তৌহিদ মিয়া (৩০), চান মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৮), চান মিয়া (৬৫), আব্দুর রহমানের ছেলে হাদিস মিয়া (৩২) ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আলী আকবর (২৫)।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণের বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৮ সালের ১৬ জুন ভোরে ভেইয়ারকোনা গ্রামের কৃষক মো. রিয়াজ উদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শরীফ উদ্দিন খোকন বাদী হয়ে ওই দিনই ১৬ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট সেই সময়ের জেলা সিআইডির পরিদর্শক মোল্লা মো. শাহজাহান আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালে আব্দুল ওয়াহাব নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলার শুনানি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এসআই