ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মোহাম্মদপুরের দুটি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
মোহাম্মদপুরের দুটি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ বহাল হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: লাইসেন্স না থাকলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ১৪টি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক অনতিবিলম্বে বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে দু’টি হাসপাতাল।

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ তাদের আবেদন খারিজ করে দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

দুই হাসপাতালের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। আদালতের আদেশের বিষয়টি মনজিল মোরসেদ নিশ্চিত করেছেন।

দু’টি হাসপাতাল হচ্ছে- নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল ও শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স না থাকলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ১৪টি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক অনতিবিলম্বে বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে ওই দু’টি হাসাপাতাল আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। যেটি বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে যায়।
 
১১ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মোহাম্মদপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীত বাবর রোড ও খিলজি রোড সংশ্লিষ্ট এলাকায় লাইসেন্সহীন হাসপাতালের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একটি রিট মামলা করি।  ওই রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট লাইসেন্স প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে এ ১৪টি হাসপাতাল অনতিবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।  

আদালতের এ আদেশ পালন করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
 
রুলে লাইসেন্স ছাড়া বা অনুমোদনহীনভাবে পরিচালতি এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে পরিচালিত এই ১৪টি হাসপাতালের পরিচালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  
 
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আট বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বিডিএম হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়েল মাল্টিস্পেশালিস্ট হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল এবং বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজইড হসপিটাল।  
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।