ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হলি আর্টিজান

আদালত এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আদালত এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা আদালত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বহুল আলোচিত রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মামলার রায় হচ্ছে বুধবার (২৭ নভেম্বর)। এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রায় উপলক্ষে আদালত এলাকায় র‌্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় ঢাকা আদালত এলাকা।

শুধু আদালত নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও সতর্ক অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পুরো সড়কে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে পুলিশ। সেসঙ্গে সাদা পোশাকে তৎপর রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

বুধবার সকাল থেকেই পুরো আদালত এলাকা খালি করে রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া আদালতে প্রবেশে তল্লাশি চালাচ্ছেন র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

জানা গেছে, সকাল ১০টা নাগাদ আসামিদের প্রিজনভ্যানযোগে কারাগার থেকে আদালতে আনা হতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ ডিভিশনের (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালতপাড়া ও এর আশ-পাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রাঙ্গণে জনসাধারণের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা প্রবেশ করবেন সবাইকে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা। তাদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। একই বছরের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।

এক বছরের বিচারকালে মামলার মোট ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। পরে আদালত রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
টিএম/পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।