ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘সুবিধাবঞ্চিতদের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থ মামলা সহায়ক’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
‘সুবিধাবঞ্চিতদের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থ মামলা সহায়ক’

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থের মামলা এখন সহায়ক ভূমিকা রাখছে। মানবাধিকার বিষয়ক বিচার ব্যবস্থায় জনস্বার্থের মামলা দেশীয় মডেল হিসেবে বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে সুপ্রিম কোর্ট অনলাইন বুলেটিন (স্কব) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘স্ট্যান্ডিং ইন পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন: অ্যান আউটলাইন’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও স্কব এডিটর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে আলোচনায় অংশ নেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।  

প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৯৬ সালে ড. মহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ মামলা দিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলার বিষয়ে বিচারিক ভূমিকার পরিধি বাড়ানোর যাত্রা শুরু করে।

তিনি বলেন, জনসাধারণের ভুল, জনস্বার্থে ক্ষত ও সাংবিধানিক বিতর্ক সমাধানে জনস্বার্থ মামলা সাধারণ মানুষের নাগালে একটি কার্যকর বাহন। সুবিধাবঞ্চিত জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থের মামলা এখন সহায়ক। মানবাধিকার বিষয়ক বিচার ব্যবস্থায় জনস্বার্থের মামলা দেশীয় মডেল হিসেবে বিচার বিভাগকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

‘এ পদ্ধতি অত্যন্ত প্রশংসিত। তবে পাবলিক তোষণ অবশ্যই বিচারকদের প্রভাবিত করবে না এবং ব্যক্তিগতভাবে অতিরঞ্জিত না হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে হবে। জনস্বার্থ মামলায় জনগণের মঙ্গলের জন্য আইন ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের জাতির সার্বিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে হবে,’ যোগ করেন প্রধান বিচারপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
ইএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।