রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে বাবুল চিশতির স্ত্রী ও মেয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহিনুল ইসলাম। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, আসামিরা নারী। নারী, শিশু, অসুস্থ ও বয়স্কদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আইন বিশেষ সুবিধা রেখেছে।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আলাদা দু’টি মামলায় রোজী চিশতী ও রিমি চিশতী জামিন পেয়েছেন। দু’টি মামলাতেই মাহবুবুল হক চিশতী আসামি হলেও একটিতে তার সঙ্গে স্ত্রী ও অপরটিতে মেয়েও আসামি রয়েছেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা মামলায় রোজী চিশতী ও রিমি চিশতীকে গত ২৪ ডিসেম্বর দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই অনুযায়ী রোববার তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ২৫৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সাল মাহবুবুল হক চিশতী মাহবুবুল হক চিশতী এবং তার স্ত্রী রোজী চিশতীকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া ২১ কোটি ২০ লাখ ৯৮ হাজার ১২৮ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার কন্যা রিমি চিশতীকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
কেআই/এএ