ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কীটনাশকের ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে হাইকোর্টের রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
কীটনাশকের ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ঢাকা: মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ক্ষতি সৃষ্টিকারী কীটনাশক মনিটরে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কেন গ্লাইফোসেট সমৃদ্ধ কীটনাশকের লাইসেন্স প্রদান ও তার নবায়ন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলাসহ সাতটি সংস্থার করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
 
একইসঙ্গে গ্লাইফোসেট সমৃদ্ধ সব কীটনাশকের ক্ষতিকারক প্রভাবের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং গ্লাইফোসেট সমৃদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার থেকে সরে আসতে ৯০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পণা প্রণয়নের নির্দেশ দেন আদালত।


 
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আদালতের এ নির্দেশনাগুলোর কথা জানিয়েছেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।   
 
আট সপ্তাহের মধ্যে কৃষি ,স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আদালতে রিট আবেদন দায়ের করেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা); উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ); এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো); পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা); বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা); শিক্ষা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রম (শিসউক) ও বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাসনলেজ (বারসিক)।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।