জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনটি দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
আদালতে আবেদনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী এবং তাকে সহায়তা করেন সাঈদ আহমেদ কবীর।
পরে সাঈদ আহমেদ কবীর আদেশ নিশ্চিত করে বলেন, রুলে পাবনা সদর, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ইছামতি নদীকে কেন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হবে না, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে কেন তাদের উচ্ছেদ করা হবে না; ক্ষতিকর স্থাপনা অপসারণ করে কেন নদীর প্রবাহ বাড়ানো হবে না এবং কেন নদীদূষণ রোধ করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
ভূমি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, পানিসম্পদ সচিব, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পাবনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ১৬ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পাবনা জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ইছামতি নদী আজ দখল ও দূষণে জর্জরিত। পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা নামক স্থানে এবং হেমায়েতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর নামক স্থানে দু’টি স্লুইস গেট তৈরির পর থেকে এ নদীকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নির্মিত স্লুইস গেট দিয়ে পর্যাপ্ত পানি প্রবেশ না করতে পারায় এ নদীর প্রবাহ কমে পাবনা শহর এলাকায় নদীটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধযুক্ত আবদ্ধ পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি। নদী দখল করে উভয় পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা, বাড়ি-ঘর ও কল-কারখানার বর্জ্য, পয়ঃবর্জ্য এ নদীতেই ফেলা হচ্ছে নিয়মিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ইএস/এএ