ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ড শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ বলছে, ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস এই আরিফুল।
এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে হওয়া মামলায় আরিফুলকে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পরিদর্শক আব্দুল হক।
গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে এক সংবাদকর্মীসহ ডজনখানেক লোক আহত হন। সে সময় গুলির শব্দও শোনা যায়। ওই ঘটনায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আহমেদ।
এ ঘটনায় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা থেকে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, গ্রেপ্তার আরিফুল ইসলাম (৪৭) ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা। তিনি নিজেকে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে পরিচয় দিতেন।
তিনি বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে তারা আরিফুলকে শনাক্ত করেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল সেদিন গুলি ছোড়ার কথা স্বীকারও করেছে।
গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
কেআই/জেডএস