রোবববার (০২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়ার আদালতে এই অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়।
এ ঘটনায় হওয়া মামলায় বেশ কয়েকদিন আগেই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক ইদ্রিস মিয়া।
রোববার বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিআরটিসির বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের চালক খুরশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এই দু’জনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া বাস চালনার মাধ্যমে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সেই অনুযায়ীই অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে এ ঘটনা ঘটে। বেলা দেড়টার দিকে বাংলামোটরের দিক থেকে ফার্মগেটগামী একটি দোতলা বিআরটিসি বাস সার্ক ফোয়ারার কাছে পান্থকুঞ্জের পাসে সিগন্যালে থেমে ছিল।
একই দিক থেকে আসা স্বজন পরিবহন নামের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দোতলা বাসের পাশের ফাঁকা দিয়ে ঢুকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাজিবের ডান হাত দোতলা বাসের সঙ্গে লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাতটি দোতালা বাসের সঙ্গে ঝুলেছিল।
পরে আহত রাজীবকে দ্রুত শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তার চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই বছরের ১৬ এপ্রিল রাতে রাজীব মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
কেআই/এমএ