ঢাকা: জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এক মামলায় ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলী এবং তার স্ত্রী সেলিনা আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করছেন আদালত।
সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় সোমবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুকুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷
আদালতের অনুমতি নিয়ে আসামিপক্ষে কথা বলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী শাহ আলম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আসামি হাজির না হলে ওকালতনামা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে আমি আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেছি। আদালতে বলেছি, নূর আলী সাহেব দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। দেশে এসে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, সমাধান হয়ে যাবে। আদালত বলেছেন, মীমাংসা হলেও আদালতের নির্দেশ পালন করতে হবে। তাই এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন৷
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার পরীবাগে নূর আলীর বোরাক রিয়েল এস্টেটের বানানো ইউনিক হাইটসের একটি ফ্ল্যাট কেনেন জালাল আহমেদ স্পিনিং মিল ও শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ। ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ২ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা নেন আসামিরা। ২০১৫ সালে ফ্ল্যাট কিনলেও রেজিস্ট্রেশন করে না দেওয়ায় ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি পিবিআই তদন্ত করে দুই আসামি নূর আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণা হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।
সমনে হাজির না হওয়ায় সোমবার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী বছর ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদনের দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
কেআই/এসআই