ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে হত্যা মামলার দুই আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন তার আইনজীবী। এই দুইজন হলেন- শারমিন আক্তার মুক্তা ও তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
এই দুই আসামির সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে আইনজীবী তাদের খালাস চেয়েছেন।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আরিফুর রহমান রঞ্জু। এরপর এ মামলার আরেক আসামি আব্দুল করিমের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ আগামী ১৩ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
ঘটনার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন রাতে নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের আটক শামসুন্নাহার করিমের স্বামী আবদুল করিম ও করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ৩ নভেম্বর দিনগত রাত ৩টায় গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। ৫ নভেম্বর জনির ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড চলাকালে ৮ নভেম্বর জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আলী হোসেন। চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ১ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
কেআই/এএটি