ঢাকা: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদির পেছন থেকে মীম (১৫) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আবুল খায়ের নামে এক আসামিকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোবাবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।
গ্রেফতার আবুল খায়েরকে এদিন আদালতে হাজির করে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই অমল কৃষ্ণ সাহা। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক আবুল খায়েরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৩টার দিকে পুলিশ মীমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রমনা ডিভিশনের ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, শহীদ মিনারের পেছন থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বান্ধবী নাসিমা ঢামেকে এসে মীমের মরদেহ শনাক্ত করে। সে জানায়, মীমের বাবা আলী রিকশাচালক ও মা লুমা ওরফে সুন্দরী। তারা থাকে কামরাঙ্গীরচর ঝাউচরে বাজারের পাশে। অনেক বছর ধরে তারা শহীদ মিনার এলাকায় একসঙ্গে ফুল বিক্রি করতো। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে বড় ছিলো মীম।
নাসিমা আরও জানান, গতরাত ১২টা পর্যন্ত সে সহ মীম, হ্যাপি, পুতুল, লতা একসঙ্গে শহীদ মিনার এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। এরপর নাসিমা বাসায় চলে গেলেও তারা ৪ জন শহীদ মিনার এলাকায় ছিলো। সকালে মীমের মৃত্যুর খবর শুনতে পায়। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেনি নাসিমা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
কেআই/এমজেএফ