ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কিশোরগঞ্জে শিক্ষক হত্যায় ছেলের ফাঁসি, বাবার যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
কিশোরগঞ্জে শিক্ষক হত্যায় ছেলের ফাঁসি, বাবার যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল হক হত্যা মামলায় মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও তার বাবা নূরুল করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।


 
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।  

রায় ঘোষণার সময় নূরুল করিম আদালতে উপস্থিত থাকলেও তার ছেলে মানিক মিয়া পলাতক। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের গাবুরগাও গ্রামে।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর উপজেলার মহেষকুড়া সিনিয়র দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল হকের ছেলে রক্সিকে মারপিট করেন নূরুল করিম ও তার ছেলে মানিক। পরে রক্সিকে বাড়িতে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে রক্সির বাবা আমিনুল হকসহ তার লোকজন ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমিনুলকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত আমিনুল হককে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই মাসের ১৭ তারিখ আমিনুলের মৃত্যু হয়।  

এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই মো. ফজলুল হক বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর চারজনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুশফিকুর ২০১১ সালের ১৮ মে মানিক মিয়া ও তার বাবা নূরুল করিমের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ রায় দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট মো. আবু সাঈদ ইমাম ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১ 
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।