সিলেট: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। তবে বাদিকে গ্রেফতারন করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর এই মামলার পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত বিচারকাজ মুলতবি করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক মোহিতুল হক।
আগের ধার্য তারিখে বাদীকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার পুলিশ বাদীকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। অবশ্য পরবর্তীসময়ে ধার্য তারিখে হাজির হওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে বাদী মাইদুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গণধর্ষণ মামলায় চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকায় আলাদা ধারায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের মামলা দু’টি আলাদা আদালতে বিচারকাজ না করে একই আদালতে বিচার করার আবেদন জানান বাদী। এ কারণে বিচারক সংক্ষুব্ধ হয়ে বাদীকে আদালতে হাজির করতে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ রোববার বাদীকে গ্রেফতার করে।
রোববর (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধর্ষণ মামলার ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
কিন্তু উচ্চ আদালতে বাদীর দায়ের করা আদালত পরিবর্তনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশনা দেওয়া হয় একই আদালতে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার বিচার করার। এছাড়া বাদীকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কমিশনারকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখা হয়।
তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকায় রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আমরা আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় চেয়েছি। আদালত আমাদের সময় দিয়েছেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এজাহারনামীয় ৬ জনসহ ৮ জনকে গ্রেফতার ও ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
এনইউ/এএ