ঢাকা: পীরগঞ্জের একবারপুর মধ্যপাড়ার ওসমান গণি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৩ সালে ভাইকে খুন করেছেন।
এ ওসমান গণিকে ভাই হত্যার অপরাধে ২০১৫ সালে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। কিন্তু আপিল করে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি তিনি হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। তার এ খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সেই আবেদেনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে রাষ্ট্রের এ আইন কর্মকর্তা জানান, ২০০৩ সালের ২২ আগস্ট পীরগঞ্জ উপজেলার একবারপুর গ্রামের একটি মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ আদায় করে বাড়িতে ফিরছিলেন নবী হোসেন মণ্ডল। পথে ছোট ভাই ওসমান গণিসহ কয়েকজন নবী হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরদিন এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. খায়রুল ইসলাম পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন পর এ মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১৪ জুন বিচারিক আদালত ওসমান গণি ও তার ছেলে মোহসীনকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দেন।
এর বিরুদ্ধে ওসমান গণি হাইকোর্টে আপিল করেন। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার আপিল মঞ্জুর করেন। পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
ড. মো. বশির উল্লাহ আরও জানান, নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালীন জামিনে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে মাহবুবকে হত্যা করেন।
তবে রায় স্থগিত হলেও যেহেতু তিনি খালাস পেয়েছেন তাই তাকে কনডেম সেলে না রেখে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে রাখতে আদালত আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বশির উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
ইএস/আরবি