ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে সামিয়া রহমানের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২১
বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে সামিয়া রহমানের মামলা সামিয়া রহমান

ঢাকা: এলেক্স মার্টিন নামে এক বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদাবনতি প্রাপ্ত শিক্ষক সামিয়া রহমান।

বুধবার (৩১ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সামিয়া রহমান নিজেই মামলার আবেদন করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য জানান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমান এবং ক্রিমোনলজি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি শিকাগো জার্নালের ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ই-মেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক দিয়ে যে শাস্তির সুপারিশ করে। যে ইমেইলের ভিত্তিতে পদাবনতি দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট এবং সৃজিত। ওই তারিখে শিকাগো জার্নাল থেকে অফিসিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ই-মেইল কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেইলে পাঠানো হয়নি। এলেক্স মার্টিন বলে শিকাগো জার্নালে কেউ কখনো কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো প্রেসেও এলেক্স মার্টিন বলে কোনো ব্যক্তি নেই। তাই সামিয়া রহমান তার ফেসবুক আইডি শিকাগো জার্নালের অফিসিয়াল এডিটর ক্রেইজ ওয়াকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্তের তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান। ক্রেইজ ওয়াকার জানিয়েছেন, এলেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনো শিকাগো জার্নালে ছিল না, কেউ নেই এবং এলেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল.কম নামে তাদের কোনো ই-মেইল আইডি নেই। এখানে কথিত এলেক্স মার্টিন সেই ডোমেইনও ব্যবহার করেননি। সৃজিত/নিজস্ব ব্যক্তিগত এলেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল.কম থেকে মেইলটি পাঠানো হয় এবং এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই মেইলের কোনো সফট কপি সামিয়া রহমানকে দেয়নি। মিথ্যা ও বানোয়াট মেইল আইডির ওপর ভিত্তি করেই সামিয়া রহমানকে ‘চৌর্যবৃত্তির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সামিয়া রহমান শিকাগো জার্নালের ওয়েবসাইট শিকাগোজার্নাল.কম এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জানতে পারেন, তাদের অফিসিয়াল ই-মেইল আইডি এডিটর@শিকাগোজার্নাল.কম এবং ওয়েব সাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ক্রেইজ ওয়াকার। এতে বুঝা যায়, শিকাগো জার্নালে এলেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল.কম নামে কোনো অফিসিয়াল ই-মেইল আইডি নেই। বিষয়টি সামিয়া রহমানের সন্দেহ ও উদ্বেগজনক মনে হলে গত ২১ ফেব্রুয়ারি অন্য এক জায়গায় যোগাযোগ করলে তিনি জানতে পারেন এলেক্স মার্টিন ফেক নাম এবং ওই মেইল আইডি তৈরিকৃত এবং সৃজিত।

সামিয়া রহমানের অভিযোগ, বিবাদীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রতারণা বা ঠকাতে জালিয়াতির মাধ্যমে অপর কোনো ব্যক্তির ছদ্মবেশ ধারণ করে তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করেছে।

তিনি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
কেআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।